”হজ্ব” ইসলামের পাঁচটি রোকনের মধ্যে অন্যকম । শরীয়তের দৃষ্টিতে বিত্তবান ব্যক্তি, যাদের পবিত্র খানায়ে কা’বার হজ্ব করার আর্থিক ও শারীরিক সামর্থ্য রয়েছে, তাদের উপর জীবনে একবার হজ্ব করা ফরজ । মহান আল্লাহ তা’য়ালা এরশাদ করেছেন, ”মানুষের উপর আল্লাহ তা’য়ালার অধিকার এই যে, যে ব্যক্তিরই এই ঘর পর্যন্ত পৌঁছার সামর্থ্য রয়েছে সে যেন অবশ্যই এই ঘরে হজ্ব আদায় করে” ।  সূরা আ’লে ইমরান : আয়াত – ৯৭

আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার লোক পবিত্র হজ্ব সম্পাদন করার জন্য সৌদি আরব গমণ করেন । কিন্তু অভিজ্ঞ মুয়াল্লিম ও গাইড এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও নির্দেশনা দানের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকলে হজ্বের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম-কানুন, ফরজ-ওয়াজিব, শর্ত-শরায়েত, সহীহ্ মাস’আলা-মাসা’য়েল ও নিষিদ্ধ কার্যাবলী ইত্যাদি জেনে বুঝে সঠিকভাবে হজ্ব পালন করা অনেক হাজী সাহেবানদের পক্ষে সম্ভব হয় না । এতে তাদের হজ্ব পরিপূর্ণভাবে আদায় হয় না । হজ্ব পরিচালনায় লিল্লাহিয়াত না থাকলে হজ্ব পালনকারীদের নানাবিধ কষ্ট হয় । বিশেষ করে শির্ক ও বিদআতযুক্ত নির্দেশনা সহীহ হজ্ব পালনকে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে । এসব দূর্বলতার কারণে হজ্ব পালনকারীরা হজ্বের বিরাট কল্যাণ লাভে অনেকাংশে ব্যর্থ হন । বহু টাকা খরচ করে এত দূর থেকে কষ্ট করে গিয়ে যদি হজ্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করা না যায়, তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক ও পরিতাপের বিষয় আর কি হতে পারে? তাই হজ্ব পালনকারীদের এই সব সমস্যার কথা চিন্তা করে ইসকপ এর শুভাকাঙ্খীদের পরামর্শক্রমে আমরা ১৯৯৭ সাল থেকে অভিজ্ঞ মুয়াল্লিম এর নেতৃত্বে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় হজ্ব কাফেলা প্রেরণ করে আসছি । আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ মেহেরবাণীতে হজ্বযাত্রী ভাই-বোনদের নিষ্ঠাপূর্ণ খেদমত এবং হজ্ব প্রক্রিয়ার যথাযথ তত্বাবধানের মাধ্যমে ’ইসকপ হজ্ব কাফেলা’ সমগ্র বাংলাদেশে সুপরিচিত একটি কাফেলা হিসাবে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে । আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সার্বিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সঠিক দিক নির্দেশনা এবং নিবীড় তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে সহীহ হজ্ব নিশ্চিত করা । এর মাধ্যমে আমরা মহান রাব্বুল আলামীনের রহমত ও সন্তুষ্টি অর্জন করাই মূল লক্ষ্য । এ বছর পবিত্র হজ্ব সম্পাদনের উদ্দেশ্যে যারা আমাদের সাথে যেতে ইচ্ছুক তাঁদের জানাই আন্তরিক মুবারকবাদ । মহান আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে সঠিকভাবে হজ্ব আদায় করার মাধ্যমে হজ্জ্বে মাবরুর এর সৌভাগ্য দান করুক । আমিন !